Chhutir Ghonta (1980)
হলে দেখা আমার লাইফে সবচেয়ে সুন্দর আর ড্রামাটিক মুভির মধ্যে একটা Chhutir Ghonta (1980)। ১৯৯৯ সালে দেখে খুব কাঁদছিলাম হলে বসেই।ছেলেটার অভিনয় ছিল অসাধারণ। আর এটা কক্সবাজার জেলার ১২ বছরের এক স্কুল বালক খোকনের সত্যি ঘটনার উপর নির্মিত। খুব জনপ্রিয় দুইটা গান আছে এই মুভির “একদিন ছুটি হবে অনেক দূরে যাব” আর “আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী”।
জেলখানায় দুপুরে খাবারের জন্যে ঘন্টা বেজে উঠল আর তখনই একজন বৃদ্ধ আব্বাস (রাজ্জাক) চিৎকার করে বলতে লাগল আমি কতো বার বলেছি তোমরা এই ঘন্টা বাজাইও না, আমি এই ঘন্টার শব্দ শুনতে চাই না এই শব্দ আমাকে খোকা সাহেবের কচি মুখের কথা মনে করিয়ে দেয়। এক পুলিশ জিজ্ঞেস করে কেন আপনি এই ঘন্টার শব্দ শুনে প্রতিদিন পাগলের মতো চিৎকার করে উঠেন? সে বলে আমি খুনী, আমি খোকা সাহেবকে খুন করেছি। পুলিশ সব জানতে চাইলে সে বলে, একটি চঞ্চল উচ্ছল হাসিখুশি ছেলে আসাদুজ্জামান খোকন বয়স ১২ বছর। স্কুলের খুব ভাল ছাত্র, শিক্ষক সহ সবাই ভালোবাসে ওকে, বিশেষ করে স্কুলের দপ্তরি আব্বাস মিয়া।
ঈদে স্কুল ছুটিতে খোকন নানা বাড়িতে বেড়াতে যাবে, তাই খোকন এর নানা (শওকত আকবর) দুদিন আগেই চলে এসেছে, মেয়ে (সুজাতা) ও নাতিকে নিয়ে যেতে। এসেই মেয়ে ও খোকনকে নিয়ে কেনাকাটায় বেরিয়ে পড়েছে, জাদুকর (জুয়েল আইচ) এর জাদু প্রদর্শনী হবে জেনে খোকন বায়না ধরল জাদু দেখবে। জুয়েল আইচ দেখাল একটি তালা বন্ধ বাক্স থেকে কিভাবে বের হতে হয়, খোকন তার কাছে জানতে চায় তালা বন্ধ ঘর থেকে বের হতে পারবে কিনা, সে বলে যেকোনো বন্ধ ঘর বা জেলখানা থেকেও বের হতে পারবে। খোকন জাদু শিখতে চাইলে সে বলে তুমি বড় হলে শিখায়ে দেব, খোকনকে ঠিকানা দিয়ে যেতে বলে। আজ স্কুলের ছুটি ঘোষণার দিন, খোকনের ভাল লাগছেনা মন চাইছেনা স্কুলে যেতে, তবুও মা ছেলেকে আদর করে বুঝিয়ে স্কুলে পাঠায়। স্কুলে শিক্ষক যখন পড়াচ্ছিল- মরিতে চাইনা আমি সুন্দর ভূবনে… তখনই ছুটির নোটিশ এলো, শিক্ষক ছুটির কথা জানিয়ে দিতেই ছুটির ঘন্ট বেজে উঠল। ছাত্র, শিক্ষক সহ সবাই সবার কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছে, ১১ দিন ছুটি। খোকন চলে এলো দপ্তরি চাচার কাছে, তাকে একটি নতুন জামা দিয়ে বিদায় নিল তার কাছ থেকে।
ওর গাড়ি আসতে আজ দেরি হচ্ছে, ওর বন্ধু পিকলু, রবার্ট, গণেশ ওকে গাড়িতে উঠিয়ে বিদায় জানাতে দাড়িয়ে আছে। কিন্তু গাড়ি আসতে দেরি দেখে খোকনই ওদের স্কুটারে উঠিয়ে বিদায় জানায়। তখনই প্রকৃতির ডাকে সে স্কুলের বাথরুমে যায়। এদিকে দপ্তরি আব্বাস মিয়া সব কক্ষে তালা মেরে চলে যায়। খোকন বাথরুমের কাজ সেরে দরজা খুলতে গিয়ে দেখে ওপাস থেকে আটকানো, প্রথমে ভেবেছিল ওর কোন বন্ধু দুষ্টুমি করছে, কিন্তু অনেকক্ষন দরজা ধাক্কানোর পরও যখন খুলছে না তখন সে বুঝতে পারল স্কুল তালা মেরে সবাই চলে গেছে। ওর ভিতরে একটা আতঙ্ক সৃষ্টি হয়, তাহলে আমাকে কি এই ১১ দিন এই বাথরুমেই থাকতে হবে? এতদিন মাকে দেখতে পারব না?
লিখেছেনঃ আবিদ হাসান
মুভিটির ডাউনলোড লিংক নিচে দেওয়া আছে। চাইলে দেখে নিতে পারেন অসাধারণ মুভিটি।
যেভাবে টরেন্ট ফাইল ডাউনলোড করবেন।
অন্যান্য মুভির জন্য ভিজিট করুন এই লিংকে।