Section 375 (2019)
HAVE YOU TAKEN HER WILL AND CONSENT? কোনটা জোরপূর্বক সেক্স কোনটা সম্মতিপূর্ণ সেক্স সেটা নির্ধারণে নিশ্চিত হওয়া আজও forensic এর জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ। এক্ষেত্রে আইন এতই কড়া যে যত জানাজানি হচ্ছে ততো ধর্ষণ মামলার পরিমাণ বাড়ছে, তবে ধর্ষণ কমছে কি? আইনের কড়াকড়ি আনাই হয় অপরাধ কমানোর উদ্দেশ্যে। কিন্তু আইনের কুব্যবহারও যে হতে পারে সেটা কি ভেবে দেখা হয়েছে? এসব প্রশ্নের মুখোমুখি করে বলিউডের Section 375 মুভিটি।


ধর্ষণ মামলার উপর সেরা কোর্ট রুম ড্রামা ভাবলেই মনে পড়ে এই দশকের Pink মুভিটার কথা। কোনো মেয়ের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপনায় তার ইচ্ছা আর সম্মতি- দুটাই যে দরকার আছে, তা দারুণভাবে দেখিয়ে জনপ্রিয় হয়েছিলো মুভিটি। তারপর বলিউড অনেক ইস্যুভিত্তিক মুভিই করেছে, তবে কোনো কোর্ট রুম ড্রামা এতোটা ভালো লাগেনি, যতটা অক্ষয় খান্না অভিনীত Section 375 লাগলো। অক্ষয় খান্না রীতিমত বসে বসে দৃশ্যগুলো চেটেপুটে খেয়েছেন। বলিউডে মাঝেসাঝে কাজ করা এই পুরান অভিনেতা Mom, Ittefaq এর মতো মুভিতে দামদার ভূমিকায় প্রমাণ করেছেন তার এখনো অনেক কিছু দেয়ার আছে।


Section 375 সরাসরি আইনের এই ধারাটাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে। উকিল হিসেবে অক্ষয় খান্না যেন পরিচালক অজয় বেহেলের কথাগুলাই বলছেন। আর বিচারক হচ্ছে দর্শক। আসামী একটা “ধর্ষণ” এর ঘটনা, যেখানে এক সিনেমার তরুণী কস্টিউম ডিজাইনার তার পরিচালক স্যারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনে।
বিন্দুমাত্র সময় সাবপ্লট বা অপ্রয়োজনীয় গল্পে ব্যয় না করে সরাসরি কাহিনীতে ঢুকে পড়ি। ভালো ভালো মুভির শুরুর দৃশ্যেই পুরা মুভির কাহিনী বলে দেয়া থাকে। এখানেও শুরুতে প্রখ্যাত উকিল আদালতে নিজের অভিজ্ঞতা বলতে বলতে জানালেন তিনি আইনি ব্যবস্থার বিশেষ ভক্ত নন। তার মুরিদরা তাকে জিজ্ঞাসা করলে একটা বিশেষ মামলার উদাহরণ টেনে প্রশ্ন রাখেন, আসলে কি ন্যায় হয়েছিলো?
২ ঘণ্টার মুভিতে ধর্ষণের ঘটনাটা রশমন ফিল্মের স্টাইলে আসামী আর অভিযোগকারী দুজনের প্রেক্ষাপট থেকেই দেখানো হয়। চমৎকার সম্পাদনা, অভিনয় আর লেখনীর সুবাদে আদালতের ভেতরে রহস্য উদঘাটিত হতে থাকে। মূল চরিত্র অক্ষয় খান্না, পার্শ্ব চরিত্রে রাহুল ভাট (Ugly) আর মিরা চোপড়ার পেছনের গল্পে কার্পণ্য না করলেও প্রসিকিউশানের উকিল চরিত্রে রিচা চাড্ডার ব্যাকগ্রাউন্ড স্টোরি একটু কম পড়ে গেছে। আদালতেও অক্ষয় খান্নাকেই বেশি রিসার্চ করা দক্ষ দেখানো হয়েছে, আর প্রসিকিউশান যেন শুধুই বর্তমান সময়ের প্রতিবাদী কণ্ঠ।
আর দুটা খুঁতের মাঝে – বাইরে দেখানো প্রতিবাদী ক্ষিপ্ত জনতার প্রতিক্রিয়াটা বাড়াবাড়ি মনে হয়েছে। ভেতরে ন্যায়বিচার চলছে তো রে ভাই, তোমরা প্লেকার্ড কার্টুন নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাও। যেভাবে উকিল, প্রহরায় পুলিশের উপর জনতার চড়াও হওয়া দেখানো হয়েছে, সেটা আন্দোলনকারী জনতাকে বোকা নির্বোধ মনে হয়। পরিচালক-লেখকের এই সিদ্ধান্ত দারুণ সমালোচিত হয়েছে। কারণ বিচারের শুনানি এখনো ধর্ষিতারই পক্ষে। এমন না যে ধর্ষক জিতে যাচ্ছে। আরেকটা খুঁত – মুভির শেষ দৃশ্যে বড় একটা খোলাসা করে দেয়া। এই মুভি আর যাই হোক, Subtle হয়নি। আরও ভালো সিনেমা শেষ এমনভাবে টানে যেখানে দর্শকের উপর বাকিটা ছেড়ে দেয়া হয়। সরাসরি বলে দেয়া হয়না। এখানে খুবই অবাস্তব ছিলো ব্যাপারটা।
এই ২টা খুঁতের বাইরে পুরা মুভিটা Spellbinding! একটা সমসাময়িক চলমান সমস্যাকে এমনভাবে দেখানো হয়েছে, যা কারো সাথে যৌন সম্পর্ক করার আগে অনেক ভাবাবে। কারণ অনেকেই আইনের ৩৭৫ ধারার কথা জানে না বলেই সমাজে এসব হচ্ছে। অনেকেই ব্যাপারটায় পরিচালকের পক্ষপাতিত্বকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেছেন। তাদের পয়েন্ট আছে। আমি বলবো মুভিটা দেখার আগে গুগল করবেন না। দেখুন, বিচার করুন, ভাবুন। শিউরে উঠতে পারেন।
এই মুভি নিয়ে গদবাধা রিভিউ লেখা কঠিন। আলোচনা করতে গেলে সেটা সিনেমার বাইরে চলে যেতে পারে। তাই কোনো পক্ষ না নিয়ে নিরপক্ষে থাকার চেষ্টা করলাম। খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা মুভি, তরুণ তরুণী- সবার দেখা উচিত। তবে জানি না এতে সমাজের ভালো হবে কি হবে না। কনফিউজিং হয়ে গেলো? আমি নিজেও কনফিউজড, মুভিটা নিয়ে না। ব্যাপারটা নিয়ে।
Watch it for Akshay Khanna and a riveting court room drama about Rape! Don’t miss it!
লিখেছেনঃ Abhie Zibran
ডাউনলোড লিংক নিচে দেওয়া আছে।
অন্যান্য মুভির জন্য ভিজিট করুন এই লিংকে।